আমার দেশের জাতীয় গির্জা/চার্চ কোনটি প্রশ্ন করলে সত্যিই উত্তর দিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়তে হবে! পাঠ্যপুস্তক কিংবা জাতীয় দৈনিকগুলোতে সর্বদাই চোখে পড়ে জাতীয় মসজিদ, মন্দির কিন্তু গির্জা/চার্চের নাম সচরাচর পড়ে না। বেশ কয়েক বছর পূর্বে উগ্রবাদী ধর্মান্ধরা একই সঙ্গে ৬০ টি জেলাতে একই সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণের প্রাক্কালে গোয়েন্দা রিপোর্টে দু-একবার তেজগাঁওস্থ হলি রোজারি চার্চকে জাতীয় চার্চ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় মসজিদ, মন্দির কিংবা চার্চ হতে হলে কী ধরনের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হবে; সেটি অজানা, তবে ব্যক্তিগতভাবে যেগুলো উপলব্ধি করেছি—
১. রাষ্ট্রীয় জায়গায় বরাদ্দকৃত রাষ্ট্রীয় অর্থে নির্মিত;
২. রাষ্ট্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন নিয়মিত উপাসনায় যোগদান;
৩. রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োগকৃত পুরোহিত বা পাদ্রী;
৪. রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে পুরোহিত, পাদ্রীর গমনাগমন ইত্যাদি।
ঢাকার মিরপুরস্থ পল্লবী থানার সম্মুখের চত্ব¡রে বোধকরি জাতীয় প্রতিকৃতি নিয়ে একটি ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। এখানে দেখার চেষ্টা করেছি, চার্চ হিসেবে কোন চার্চ/গির্জার ছবি সেখানে সংস্থাপিত হয়েছে! সত্যিই অন্যান্য জাতীয় স্থাপনার সাথে ঘড়ি ঘর গির্জা বা সেন্ট থমাস চার্চের প্রতিকৃতিই স্থান পেয়েছে। মিজানুর রহমানের ‘ঢাকা পুরাণ’ পুস্তকে ‘সেন্ট থমাস চার্চ’কে ক্যাথলিক গির্জা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ১৪২ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে, ‘আমরা ভিক্টোরিয়া পার্কের দিকে এগোচ্ছি। ডান দিকে বিশাল কাচারি এলাকা। বাঁ দিকে ফেলে এসেছি ঢাকা জেলা ভবন। আরেকটু এগোলেই পড়বে ক্যাথলিকদের গির্জা, যার মাথায় শোভা পাচ্ছে ঢাকার একমাত্র ‘বিগবেন’ ঘড়ি—যদিও আমি যখনকার কথা বলছি, সেই ’৪৭ কি ’৪৮ সালের ঢাকা তেমন ব্যস্ত শহর ছিল না, তবুও অলস পথচারীকে এবং কলকাতা ও হিল্লিদিল্লি ঝেঁটিয়ে আসা, দেশভাগের কারণে অপশন নিয়ে আসা আগন্তুকদের সময় সম্পর্কে সজাগ করে দেওয়ার এমন চমৎকার ব্যবস্থা হয় না।’ ১৮১৯ খ্রি. ঢাকার জেলের কয়েদিদের শ্রমের বিনিময়ে উপমহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে উনিশ শতকের যে স্থাপত্যের অনুকরণে অ্যাংলিকান গির্জাগুলো নির্মিত হয়েছিল, তাদের সঙ্গে এই গির্জার তেমন কোনো তফাৎ নেই। তবে এ গির্জার প্রধান আকর্ষণ এর চুঁড়োর ঘড়ি। ‘ব্রিটিশ সরকারের রাজকোষ থেকে ব্যয় ভার বহন করা হয়েছিল বলেই পূর্ববঙ্গের ঢাকায় অবস্থানরত সরকারি কর্মকর্তাদেরকে সাপ্তাহিক উপাসনায় যোগদান করতে হতো। এই গির্জাটি একটি রাষ্ট্রীয় গির্জায় পরিণত হয়েছিল। ১৮২৪ খ্রি. ১০ই জুলাই রোববার কলকাতার লর্ড বিশপ রেজিনাল্ড হেবার এই ‘গির্জার পবিত্রকরণ’ অনুষ্ঠান পরিচালনা তথা উদ্বোধন করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ওই অনুষ্ঠানের দিন গির্জায় উপস্থিত ছিল চৌত্রিশ-পঁয়ত্রিশ জন এবং এর রকম একান্ত মনোযোগের সঙ্গে গির্জায় বসে কথা শুনতে তিনি শুধু ঢাকার খ্রীষ্টিয়ানদেরই দেখেছেন।’
গির্জার গঠন এবং স্থাপত্য রীতি ইংল্যান্ডের পল্লী (প্যারিস চার্চ) চার্চগুলোর মতো যেহেতু এটি অক্সফোর্ড বা অ্যাংলিকান চার্চ নামে পরিচিত, তাই বোঝাই যায় এর উৎপত্তি ইংল্যান্ডে এবং ইংল্যান্ডের ব্যক্তিদের দ্বারা চার্চটি নির্মিত। ঢাকার স্থানীয় মানুষজন এই গির্জাকে ঘড়িওয়ালা গির্জা নামেও চিনে। এই ঘড়ির আত্মীয়তা আছে লন্ডনের বিখ্যাত ‘বিগ বেন’ ঘড়ির সঙ্গে। বলা হয়, লন্ডন শহরের প্রতীক এই বিগ বেন। বিগ বেন তৈরি হয়েছিল ১৮৫৩ খ্রি. আর সাধু থোমার ক্যাথেড্রালের ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছিল ১৮৬৩ খ্রি. ১০ বছরের তফাতে তৈরি হলেও দুটোই কিন্তু একই কোম্পানির তৈরি। মজা করে কেউ কেউ ক্যাথেড্রালের ঘড়িটিকে ‘ইয়ংগার ব্রাদার অব বিগ বেন’ বলে ডাকেন। ঘড়িটি নিয়ে ১৯০৮ খ্রি. ‘দি ইম্পেরিয়াল গ্যাজেট অব ইন্ডিয়া’র জুলাই সংস্করণে লেখা হয় ‘চার্চের চূড়ার ঘড়িটি ১৮৬৩ সালে বসানো হয়েছিল, যা কিনা লন্ডনের বিখ্যাত বিগ বেনের কারিগরদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত।’
বিশপ ঢাকার নারিন্দায় খ্রিষ্টানদের কবরস্থানটির পবিত্রকরণ অনুষ্ঠান সমাপন করেছিলেন জুলাই ২২, ১৮২৪ খ্রি.। তিনি বর্ণনায় লিখেছেন, ‘গোরস্থানটি লোক-বসতি থেকে মাইল খানেক দূরে। চারদিকে জলাজঙ্গল। গোরস্থানে ঢোকার জন্য আছে একটি মুরীয় স্থপত্যের ফটক। চারদিকে উঁচু প্রাচীর। গোরস্থানটি বেশ বড় কিন্তু কবরের সংখ্যা খুব কম এবং বেশির ভাগ কবরই প্রাচীন ইংরেজদের, ঢাকার ব্যবসায়ীক প্রাচুর্যের সময় যাঁরা এসেছিলেন। মি. প্যাজেট নামে একজনের কবর আছে, যিনি ১৭২৪ সালে ছিলেন কোম্পানির চ্যাপলিন। কিছু কিছু সমাধি বেশ সুন্দর। একটির কথা উল্লেখ করছি। সমাধিটি মুসলমান পীর— ফকিরের কবরের ওপর যে ধরনের স্থাপত্য গড়ে তোলা হয় ঠিক সে ধরনের উঁচু গথিক টাওয়ার, একই ধরনের ক্যাপুল এবং আটটি জানালা। গোরস্থানের দারোয়ান হেবারকে জানিয়েছিলেন, কবরটি জনৈক কলম্বো সাহেবের, যিনি কোম্পানিকা নৌকর ছিলেন। আরেকটি কবর আছে জনৈক চীনা ভদ্রলোকের, যিনি খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। কবরটি একশো বছরের পুরোনো। বেশির ভাগ কবরের স্মৃতিফলক আইভি লতায় গেছে ঢেকে এবং অনেকগুলি পিপুল গাছের শেকড়ের জন্য ধ্বংসের পথে। আশেপাশের জলাজঙ্গলে মাহুতসহ ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু হাতি। পুরো দৃশ্য এতটা বন্য যে কোনো ড্রইং করতে পারলাম না বলে আফশোস হচ্ছে।’ বিশপ হেবার যখন ঢাকায় আসেন তখন ঢাকা ছিল ‘a curious meeting place of the old order and the new.’
‘জপমালা রানীর গির্জা’ নামেই সমাধিক পরিচিত এবং এটি একটি ক্যাথলিক গির্জা। এই গির্জাটির প্রতিষ্ঠাকাল নিয়ে বেশ মতবিরোধ রয়েছে, তবে মোটামুটিভাবে ধরে নেওয়া যায় ১৬৬৭ খ্রি.। এই সময়েই ‘হলি রোজারি চার্চ’ নামে তেজগাঁও, পূর্ব বঙ্গের প্রথম ক্যাথলিক প্যারিস নির্মাণ করা হয়। ১৬৪০ খ্রি. দিকে ম্যানরিক ঢাকায় আগমণ করেন এবং তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে লিপিবদ্ধ করেছেন এরূপ: ‘খ্রিষ্টিয়ানদের বসতি শহরের (ঢাকা) বাইরে। যে পবিত্র সংঘের সদস্য আমি, সেই সংঘের একটি ছোট অথচ ছবির মতো সুন্দর মন্যাস্টারি এখানে আছে। মন্যাস্টারির মাঝে আছে একটি চমৎকার উপাসনাগৃহ। বিশাল পৌত্তলিক জনসমুদ্রের মধ্যে এই উপাসনাগৃহে ঈশ্বরের যে আরাধনা হইয়া থাকে তাহা পৌত্তলিকদের পরিত্রাণের প্রকৃত পথের সন্ধান দেয়।’ ১৬৬৩ খ্রিষ্টাব্দে ম্যানুচ্চী লিখেছিলেন, ‘অনেক সাদা ও কালো পর্তুগীজ খ্রিষ্টিয়ানের বাস এখানে। উপাসনাগৃহের তত্ত্বাবধান করেন ফাদার আগষ্টিনহা।’ ১৬৬৬ খ্রি. পর্তুগীজদের সামরিক সহযোগিতা ঢাকার মোগল শাসনকর্তা চট্টগ্রাম দখলমুক্ত করেন আরাকানীদের হাত থেকে। ড. টেইলর ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসেছিলেন ঢাকাতে। তার বিবরণে পাওয়া যায়, ‘ঢাকার সন্নিকটে তেজগাঁও উপাসনাগৃহটি ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে অগাস্টিনীয় মিশনারীদের দ্বারা নির্মিত হইয়াছিল বলিয়া বলা হয়। কিন্তু ভারতের নেস্টোরীয় খ্রিষ্টিয়ানদের উপাসনাগৃহের সাথে ইহার অদ্ভুত মিল দেখিয়া মনে হয়, ভার্টোম্যানাস যে সব খ্রিষ্টিয়ান বণিকদের কথা উল্লেখ করিয়াছেন, তাঁহাদের দ্বারাই ইহা প্রথমে নির্মিত হইয়াছিল। পরবর্তীকালে রোমান ক্যাথলিক মিশনারীগণ ইহার সংস্কার করেন অথবা পুনর্নিমাণ করেন।’
বাংলাদেশের স্থাপত্যে এটি অতুলনীয়। কারণ অধ্যাপক দীনার মতে, ‘এটা হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিষ্টান’ এ তিনটি স্থাপত্য রীতির সমন্বয়। গির্জাটির দুই সারিতে মোট ১২টি মজবুত স্তম্ভ রয়েছে। মূল গির্জাটি পরবর্তী সময়কালে সংস্কার ও পুনর্গঠিত হয়েছে। যে মঞ্চের ওপর গির্জার বেদিটি রয়েছে, সেটিই এই গির্জার প্রাচীনতম অংশ। গির্জাটির ভেতরের দেয়ালে ইংরেজি, গ্রিক ও আর্মেনিয়ানদের ৪৩ কবরের এপিটাক রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে পুরোনো এপিটাফটির বয়স প্রায় তিনশ বছর। গির্জাটির পাশেই রয়েছে এর সমসাময়িক একটি কবরস্থান। গির্জাটি এখনও খ্রিষ্টিয় প্রার্থনার কাজে ব্যবহৃত হয়। একদা আসা বিশপ হিবার ঢাকা শহরকে মস্কোনগরীর সাথে তুলনা করেছেন। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘The Architecture is precisely that of the kremlin of Moscow of which city, indeed, I was repeatedly reminded in my progress through the town.’
উাদার আনতাইন দা মেগালহাইসের মতে, প্রথমদিকে এটি গির্জা ছিল না। সম্ভবত নেষ্টোরীয় খ্রিষ্টানগণ চ্যাপেল (উপাসনার স্থান) হিসেবে গির্জার পশ্চিম দিকের অংশটি নির্মাণ করেছিলেন। সুরকী দিয়ে গাঁথা এর দেয়ালের প্রশস্ততা ছিল ১.২১৯২ মি. এবং এতে উত্তর দিকে অল্প সংখ্যক খোলা প্রবেশপথ ছিল। এই আদি চ্যাপেলটি পরবর্তীকালে দুটি অংশে বিভক্ত করা হয়; প্রথম অংশ—পশ্চিমের ০.৭ মি. উচ্চতা বিশিষ্ট বেদী, দ্বিতীয় অংশ—উপাসকদের জন্য নির্ধারিত স্থান। গির্জাটির দেয়ালের প্রশস্ততা এবং ছাদ নির্মাণের ক্ষেত্রে দুই অংশের মধ্যে পার্থক্য একথা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সম্ভবত পর্তুগিজ ক্যাথলিক অগাষ্টিনিয়ানরা পরবর্তী সময়ে এর পূর্ব দিকের অংশটি নির্মাণ করেছিল। ৩.৪৭ মি প্রশস্ত বিজয় তোরণ এবং কৌণিক খিলানযুক্ত গলিপথটি গির্জাটির পূর্ব দিকের বৃহদাংশের সঙ্গে পশ্চিমের ক্ষুদ্রাংশের সেতু বন্ধন রচনা করেছে। গির্জার পূর্বদিকের বৃহৎ অংশটি দৈর্ঘ্য ২৫.৪৮ মি প্রস্থ ৯.৮৪ মি এবং দেয়ালের প্রশস্ততা ০.৭০ মি। অন্তবর্তী ফাঁকা অংশটি ‘নেভ’ ও উভয়পাশের ০.৪৮ মি ব্যাসার্ধের বৃত্তকার ‘তুসকান’ স্তম্ভের সাহায্যে দুটি আইলে বিভক্ত। এর প্রধান প্রবেশ পথ পূর্বদিকে অবস্থিত কিন্তু অপর দিকে দুটি করে অতিরিক্ত দরজা দক্ষিণ ও উত্তর দেয়ালে সরকারি কোনো পোরচ বা বারান্দা ছাড়াই নির্মিত। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালের প্রবেশপথসমূহ মূল দরজাগুলির অনুকরণে অনাড়ম্বরভাবে নির্মাণ করে আলো-বাতাস প্রবেশের সুব্যবস্থা করা হয়। ১৭৭৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত গির্জাটির চারবার সংস্কারের কথা জানা যায়। তন্মধ্যে ১৯৩৯-৪০ খ্রিষ্টাব্দে ব্যাপক মেরামত করা হয়। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখানে পাঁচজন স্থায়ী যাজক রয়েছেন।
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক থেকে চার্চ দুটি খ্রিষ্ট বিশ্বাসীর স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। তবে হ্যাঁ, প্রতিষ্ঠার দিকে দিয়ে ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ডিসেম্বরে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার ঈশ্বরীপুরে নির্মিত গির্জাঘরটির নির্মাণ কাজ সমাপ্তি করেছিলেন জেসুইট ফাদারগণ। এটিই বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রথম গির্জা ঘর। ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি ঈশ্বরীপুরে ‘যীশুর পবিত্র নাম’ গির্জাটি রাজা প্রতাপাদিত্যের সামনে জেসুইট ফাদার ফ্রান্সিসকো ফার্নান্দেজ আশীর্বাদ করেন। উদ্বোধনের পরের দিন অর্থাৎ ২ জানুয়ারি ‘রাজপুত্র’ গির্জার সাজসজ্জা দেখতে আসেন। এই গির্জার খ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল, বহুদূরের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করতেন। এ বছরের ২৪ জুন চট্টগ্রামে ফাদার ফার্নান্দেজ ও ফাদার বভেস ‘দীক্ষাগুরু সাধু যোহনের গির্জা’(সেন্ট জন দ্য ব্যাপ্টিষ্ট চ্যাপেল) আশীর্বাদ করেন। এই গির্জাটি আরাকান রাজ্যের অর্থ সাহায্যে নির্মিত হয়। গির্জাটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে পরবর্তীকালে সেখানেই ‘পবিত্র জপমালা রানী’ গির্জা নির্মাণ করা হয় ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে। ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে জেসুইটগণ ৪টি গির্জা স্থাপন করেছিলেন।
আমরা সাধারণ খ্রিষ্ট বিশ্বাসীগণ প্রত্যাশা করি, আমাদের জাতীয় গির্জা/চার্চ প্রতিষ্ঠান থাকা আবশ্যিক। জাতীয় গির্জা নির্ধারণে খ্রিষ্টিয় জাতীয় নেতৃবৃন্দরাই খ্রিষ্ট বিশ্বাসীদের দিক-নির্দেশনা প্রদান করবেন।
● মিথুশিলাক মুরমু : লেখক ও গবেষক।