বিবর্তন ডেস্ক (বি. স.) ● দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৯৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৩৭ জন।
এই নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৫ হাজার ১৪০ জনের। মোট মারা গেছেন ৭৪৬ জন।
আজ বুধবার বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ১০৩টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ৫১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট তিন লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ৭৪৬ জন মারা গেছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।’
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং নয় জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩১ জন এবং বাসায় ৫ জন মারা গেছেন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৯৫ জনকে। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ৬ হাজার ৪৯৮ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ১৩৭ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৫৪৪ জন ছাড় পেয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৪২৮ জনকে। এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ৮১৩ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১৪৫ জন এবং এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮৫ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৭ হাজার ৮২৮ জন।
ব্রিফিংয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৫১০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। গতকাল ১২ হাজার ৭০৪ জনের করোনা পরীক্ষা করার কথা জানানো হয়েছিল।
দেশে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এখন ৫০টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির জন্য আলাদা কবরস্থানের দরকার নেই। সতর্কতা মেনে পারিবারিক কবরস্থানেও দাফন করা যাবে। মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে করোনা ছড়ায় না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।