সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন মৌসুম শুরু করার। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতেই তো পারলই না, উল্টো বড় ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
রোনালদো নেই, নেই জিদানও। এ রিয়ালকে নিয়ে শঙ্কিত ছিল ভক্ত হতে শুরু করে ফুটবল বোদ্ধারা। শেষ পর্যন্ত অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো খেলায় হেরে উয়েফা সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে বঞ্চিত হয় রিয়াল মাদ্রিদ।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে অ্যাস্তোনায় লস ব্লাংকোসদের ৪-২ গোলে পরাজিত করে অ্যাটলেটিকো। রিয়ালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোকে ছাড়া এ প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামে ক্লাবটি। প্রথম ম্যাচেই বিপর্যস্ত দেখা গেছে লস ব্লাংকোসদের।
ম্যাচের শুরু থেকেই অ্যাটলেটিকো চাপে রাখে সার্জিও রামোসদের। প্রথম মিনিটেই দিয়েগো কস্তার গোলে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। ২৭ মিনিটের মাথায় বেনজোমার গোলে সমতা আনে রিয়াল মাদ্রিদ। বিরতি পর্যন্ত আর কোনো গোলের দেখা পায়নি দুদল।
বিরতি থেকে ফিরে আসার ত্রাণকর্তা রূপে হাজির হন সার্জিও রামোস। ৬৩ মিনিটে গোল দিয়ে এগিয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদকে। তবে এগিয়ে থাকার আনন্দ বেশিক্ষণ থাকেনি রিয়াল শিবিরে। ৭৯ মিনিটে আবার আঘাত হানেন কস্তা। ব্রাজিলীয় বংশদ্ভুদ এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে সমতা আনে অ্যাটলেটিকো। নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে শুধু অ্যাটলেটিকো রূপকথা। রিয়ালের জালে আর দুবার গোল জড়িয়ে সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ৯৮ মিনিটে সাউল নিগেজ এবং ১০৪ মিনিটে কোকে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।
তবে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল রামোস-বেনজোমারা। ম্যাচের ৫৯ ভাগ সময় বল ছিল তাদের পায়ে। অ্যাটলিটকোর গোলবারে লক্ষ্য করে আক্রমণের ধারবাহিকরা থাকলেও দেখা গেছে ফিনিশারের অভাব। এর আগে কখনো ফাইনাল ম্যাচে শহরের প্রতিদ্বন্ধি ক্লাবটির কাছে হারেনি রিয়াল মাদ্রিদ।
আগামী ১৮ তারিখ থেকে শুরু হবে লা লিগা। মাঠে রোনালদো আর ডাগআউটে জিদান বিহীন রিয়াল মাদ্রিদের এ মৌসুম কেমন কাটে তা বলে দিবে সময়ই।