বিবর্তন ডেস্ক (বি. স.) ● সরকার অনুমতি দিলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে বিপণী বিতানই না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের সাথে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত জানান ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম দোকান মালিক সমিতি ও নিউ মার্কেট মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ খুরশীদ আলম জানান, “সরকারিভাবে ১০ মে থেকে মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত জানানো হলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে কোনো মার্কেট খোলা হবে না।”
সিএমপি কমিশনারের সাথে এই বৈঠকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
খুরশীদ আলম বলেন, “রবিবার থেকে মার্কেট খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত দেয়া হলেও বেশকিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে পরিচয়পত্র সাথে রেখে দুই কিলোমিটারের মধ্যে মার্কেটে যেন ক্রেতারা যেতে পারেন। ক্রেতাদের এ বিষয়টি আমরা কোনোভাবেই নিশ্চিত করতে পারব না। পাশাপাশি এত বিধিনিষেধ মেনে ব্যবসা করা যায় না। সেজন্য আগামী ১৬ মে পর্যন্ত যতদিন সরকারিভাবে লকডাউন আছে সে সময়ে মার্কেট না খোলার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি। এই সময়ের মধ্যে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ও লকডাউন উঠে যায় তখন চিন্তা করব মার্কেট খোলা যায় কিনা।”
যদি ১৭ মের পরে ‘সাধারণ ছুটি’ আরও বাড়ানো হয় সেক্ষেত্রে ঈদের আগে মার্কেট খোলা হবে না বলে জানান ব্যবসায়ী নেতা খুরশীদ।
গত ৪ মে বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশের শপিং মলগুলো খোলা রাখা যাবে জানিয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের সোমবার নির্দেশনা পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শুক্রবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে চট্টগ্রামের ১০টি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা কোভিড-১৯ ঝুঁকির মধ্যে ঈদের আগে দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত জানান। তবে চট্টগ্রামের পাইকারি মার্কেটসহ অনেকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি।
শনিবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনারের সাথে বৈঠক করে সবাই মার্কেট না খোলার পক্ষে সম্মতি দেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) মাহবুবর রহমান জানান, “ব্যবসায়ীরাই নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়েছেন ঈদের আগে অল্প সময়ের জন্য ঝুঁকি নিয়ে তারা দোকান খুলবেন না। আমরা বলেছি কেউ যদি দোকান খোলা রাখতে চান তারা পারবেন। তবে তাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে দোকান করতে হবে।”
এদিকে বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা মার্কেট না খুললে ফুটপাতে যাতে কেউ ব্যবসা করতে না পারে সে বিষয়টি পুলিশকে খেয়াল রাখার জন্য দাবি জানায়। সিএমপি কমিশনার মাহবুব বলেন, “ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ফুটপাতে যেন কেউ ব্যবসা করতে না পারে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি মার্কেটে খোলা না রাখলে ফুটপাতেও কেউ ব্যবসা করতে পারবে না।”