বিভাগীয় সম্পাদক ● শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে ২০ রমজান পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ১৯ মার্চ শনিবার কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার খনজনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান।
শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে ঈদের ছুটির আগে রোজার তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ক্লাস চালু রাখার কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমায় গত ২ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয় সরকার। আগের মতো সীমিত পরিসরে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করা হয়।
পরে গত ১৫ মার্চ থেকে মহামারির প্রভাব কাটিয়ে ৭২৬ দিন পর স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু হয় স্কুল-কলেজে; মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন সব বিষয়ে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্য দিয়ে সশরীরে পূর্ণাঙ্গ শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরতে দুই বছরের অপেক্ষার অবসান হয় শিক্ষার্থীদের।
তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিন ক্লাস শুরু হয়েছিল ২ মার্চ থেকেই। তবে মাধ্যমিকে ক্লাস হচ্ছিল সীমিতভাবে; মঙ্গলবার তারাও পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরল।
আর প্রাক-প্রাথমিকের, অর্থাৎ নার্সারি-কেজির মতো ছোটো শ্রেণির ক্লাসগুলো শুরু হল দীর্ঘ দুই বছর পর। মহামারি পরিস্থিতিতে অনলাইনেই বিভিন্ন স্কুলগুলো তাদের ক্লাস নিয়ে আসছিল। অর্থাৎ, এসব স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পর ১৫ মার্চ প্রথম ক্লাসে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
২০ রমজান পর্যন্ত স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী জাকির বলেন, “করোনাভাইরাসের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”