১৯৭১ সালে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের প্রাণ ও অগণিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। নয় মাসের এই যুদ্ধে ভেঙে পড়েছিল অথনৈতিক অবকাঠামো । এমন অবস্থায় বন্ধু রাষ্ট্রদের প্রতি সহায়তা কামনা করেন তৎকালিন রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান । রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ডাকে কিছু খ্রীষ্টান মিশনারী এ দেশে আসে অসহায় মানুষদের সহায়তার জন্য । তাদের প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে ২৬ শে অক্টোরর ‘হীড বাংলাদেশ’ নামে একটি এনজিও সৃষ্টি হয় । যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠিত হওয়া হীড বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরের স্বর্ণালী সোপানে পা দিল।
১৯৭৪ সালে প্রতষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পচিালনা করে আসছে। সংস্থাটি গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভ’মিকা পালন করছে । হীড বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য―‘‘Build Communities That are just ,accountableb and responsive to the needs of the poor and marginalized with dignity for glorifying the the creator and his creation,By ensuring basic Health service,extended support to normal and non-formal education and counter poverty through creating capital for alternation income and employment opportunities, response to all disasters and thus transform human lives ’’ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হীড বাংলাদেশ H=health E=education, E=economice D= deployment এই চারটি বিষয়ে জোর দিয়ে কাজ করে ।
শিক্ষার প্রসার ও মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের লক্ষ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে হীড বাংলাদেশ বাংলা ও ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল পরিচালনা করে আসছে । শুধু স্কুল নয় বরং বিভিন্ন টেকনিকেল স্কুল ও পরিচালনা করে আসছে । সদস্যদের সন্তানদেও উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে । স্বাস্থ্য খাতে হীড বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভৃমিকা পালন করে আসছে। তার মধ্যে টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, কুষ্ঠরোগ পুনবার্সন ইত্যাদি পরিচালনা করে । বাংলাদেশী অথনৈতিক উন্নয়নে , দারিদ্র্য নিরসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার রক্ষা, টেকসই উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে হীড বাংলাদেশ ভূমিকা অতুলনীয় । শুধু ঋণ বিতরণ করে না বরং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ।
সাম্প্রতিক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক পাস্টর আনোয়ার হোসেন এডাব’র চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে হীড বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আশা করা যায় তাঁর নেতৃত্বে এডাপ’র অধীনে যেসব এনজিও রয়েছে সেগুলো আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিবে সক্রিয় ভূমিকা। পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে হীড বাংলাদেশের জন্য শুভ কামনা সবর্দা এগিয়ে যাক হীড বাংলাদেশ এগিয়ে যাক বাংলাদেশের অথনৈতিক অবকাঠামো ।
নাহিদ বাবু : লেখক, হীড বাংলাদেশে কর্মরত।