বিগত ৭ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলা চত্বরে আদিবাসীদের জমি-জায়গার সমস্যা নিয়ে আলোচনাকে কেন্দ্র করে খোদ উপজেলা চত্বরেই উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম’র কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি হিংগু মুরমুকে অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি দিয়ে অপমান, মারার জন্য তেড়ে আসা এবং প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে চিহ্নিত প্রভাবশালীরা। প্রশাসনিক চত্বরে এরকম পরিস্থিতি এবং দায়িত্বশীলদের মৌনতা আমাদেরকে সংক্ষুব্ধ করে তুলেছে। দ্বিতীয়ত—১৫ নভেম্বর সকাল ৮ ঘটিকার দিকে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম’র কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. প্রভাত টুডুকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আমনুরা রেলবাজার থেকে গ্রামের বাড়িতে যাবার প্রাক্কালে মো. ওহাব, তার সন্তান রুবেল ও তার দলবল প্রকাশ্যে বাজারে পথরোধ করে অপমান, অপদস্ত করে সম্মান ও সুনামের ক্ষুণ্ন করেছে। আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেই ক্ষান্ত হননি, কীভাবে এদেশে বসবাস করবে, সেটিরও হুঁশিয়ারী দিয়েছে।
উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম নির্যাতিত-নিপীড়িত, অত্যাচারিত-উচ্ছেদিত আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় সরব ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষত ৫ আগস্টের পরবর্তীকালে মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন এবং প্রশাসনে চাপ সৃষ্টি করে ক্ষমতাবানদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে। উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম’র কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর ঘটে যাওয়া পর পর ঘটনাকে কোনোভাবেই স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। যারাই আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ে সোচ্চার, তারাই ক্ষমতাবানদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। আমরা সুনিশ্চিত হচ্ছি, এটি সাম্প্রদায়িকতা, আদিবাসীদের পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদের নীলনক্সা এবং অধিকারকে উপেক্ষা করে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
প্রদীপ হেমব্রম
তথ্য ও প্রচার সম্পাদক
উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম।