প্রভু যিশুর জন্মদিন সারা বিশ্বের খ্রিষ্ট বিশ্বাসীরা অতি আড়ম্বের সাথে উদযাপন করে থাকেন। এ দিনটিকে চিরদিনের জন্যেই ধার্য করা হয়েছে, আমাদের জীবনের হাজারো ঝড়-ঝঞ্ঝা, বিপদ-আপদ, মৃত্যু-অসুস্থতা আসুক না কেন; বড়দিন নির্দিষ্ট দিন, নির্দিষ্ট ক্ষণেই উপস্থিত হয়ে থাকে। বড়দিন কোটি কোটি মানুষ নিজেকে বিলিয়ে, অর্থ বিলিয়ে এবং বাজারের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমায় নেমে এনে বাড়তি আনন্দ দেওয়ার রেওয়াজ এতদ্ অঞ্চলে বিরল হলেও ইউরোপ, আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে এটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। রমজান মাসে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবর্তন অনুষ্ঠানে মান্যবর রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, বড়দিনে সারা ইউরোপে দ্রব্যমূল্যের দাম কমে, সেক্ষেত্রে আমার দেশের প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যায়, এটিই আমাদের বোধগম্য নয়।
আমাদের গণতান্ত্রিক সরকার বড়দিনের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিতে দেশের ২২৪ গির্জা/চার্চ/উপাসনালয়ে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ বরাদ্দ দিয়েছিলেন (দৈনিক সংবাদ ০৭. ০১.২০২১)। নিঃসন্দেহে বলা যায়, গ্রামীণ মণ্ডলী থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলের মণ্ডলীগুলো আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিল।
আমাদের কাছে এবার প্রথম প্রতীয়মান হয়েছে, বড়দিনের আনন্দকে ছাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১:৫০ মিনিটে মাই টিভিতে প্রচারিত হয়েছে ডকুফিল্ম ‘যিশু এসেছিল, আসবেন’। ব্যতিক্রমটা হচ্ছে, ইতিপূর্বে চার্চ এ দায়িত্বটা নিয়েছে কিন্তু এবার শতভাগ বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকমনা কলাকুশলীরা এগিয়ে এসেছিলেন। নির্মাতা কামরুল হাসান নাসিম এবং এনামুল হকের সম্পাদনায় চলচ্চিত্রটি ৩৩ মিনিট দৈর্ঘ্যরে। প্রভু যিশুর ৩৩ বছরের জীবনীকে সম্মানার্থে ৩৩ মিনিটকে ধার্য করা হয়েছে। তিনি যে অদ্বিতীয় বিক্ষুব্ধ ও অশান্ত পৃথিবীকে শান্তি প্রদানের পথ নির্দেশ দিয়েছেন; তা পুনর্বার চিত্রিত ও স্বীকৃত হয়েছে।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের বড়দিন অন্য বছরের চেয়ে ভিন্নতর ছিল। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর জন্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বিনিময় থেকে বিরত ছিলেন, তবে বাণী প্রদান করে কৃতার্থ করেছেন। বড়দিন উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত বাণীতে উল্লেখ করেছেন, “…খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা সারাবিশ্বের যীশু খ্রিষ্টের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে ‘বড়দিন’ যথাযথ মর্যাদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে উদ্যাপন করে থাকেন। যীশু খ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত এবং আলোর দিশারী। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে তিনি বহু ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিষ্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানান। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন। …জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশু খ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশু খ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক…” (দৈনিক সংবাদ ২৫১২.২০২০)।
বড়দিনের পূর্বে ১০ নভেম্বর তারিখে প্রদত্ত ঢাকা আর্চডায়োসিসের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজের অধিষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উল্লেখ করেছেন, ‘‘মানবতার কল্যাণই সকল ধর্মের মূলকথা। খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক মহামতি যীশুখ্রিষ্ট ছিলেন মুক্তির দূত, আলোক দিশারী। পৃথিবীকে শান্তিময় আবাসভূমিতে পরিণত করতে তিনি খ্রিষ্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণই ছিল যীশুখ্রিষ্টের দর্শন।’’ দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, “…খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্ট এ দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা ব্যবস্থা প্রবর্তনই ছিল যীশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যীশু নিজেকে উৎসর্গ করেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন” (দৈনিক সংবাদ ২৫.১২.২০২০)। আশ্চর্য হয়েছি বিশেষ করে প্রভু যিশু খ্রিষ্টের গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যকে মাননীয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যে বিশেষণে বিশেষায়িত করেছেন, তা প্রভু যিশু খ্রিষ্টের ক্ষেত্রেই শিরোধার্য। দেশের কর্ণধার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণীর মর্মাথ হিসেবেউল্লেখ করা যায়—
ক. সত্যাণে¦ষী, মানবজাতির মুক্তির দূত, আলোর দিশারী, স্রষ্টা-সৃষ্টির মধ্যস্থতাকারী, স্রষ্টার ইচ্ছা বহিঃপ্রকাশকারী, শান্তির আবাসভূমি তথা স্বর্গরাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা;
খ. সত্য ও ন্যায় পথের পথনির্দেশক;
গ. মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধ—ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা বা শান্তিপূর্ণ সহবস্থান;
ঘ. ভোগে নয় ত্যাগেই সুখ—ত্যাগ, সংযম, অপরকে দান;
ঙ. জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি, ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনুপম আদর্শ।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও প্রিন্টিং মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বড়দিন প্রভু যিশুর জন্মদিন ও তাঁর বাণীকে তুলে ধরেছেন। খ্রিষ্ট ধর্মের মৌলিকত্বকে প্রকাশে দেশের প্রথম সারির মিডিয়াগুলোর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। প্রথিতযশা পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বড়দিন, প্রভু যীশু, আদর্শ ও কাজকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, যা বিশ্ববাসীর জন্য উৎসাহব্যাঞ্জক—
১. ‘…হিংসা-বিদ্বেষ, অন্যায়-অত্যাচার ও পাপাচারে নিমজ্জিত মানুষকে সুপথে আনার জন্যই আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রভু যীশু। তিনি সারাজীবন আর্তমানবতার সেবা, ত্যাগ ও শান্তির আদর্শ প্রচার করেছেন। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সবাইকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। শাসকের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি শোষিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষ নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি শাসকের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং মাত্র তেত্রিশ বছর বয়সে ক্রুশবিদ্ধ হন। …বাংলাদেশসহ বিশ্বের সর্বত্র বড়দিন উদ্যাপনের আনন্দ যেন মানুষের মধ্যে সত্যিকার মানবতাকে জাগ্রত করে। মহামানব যিশু যে প্রেম, শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী প্রচার করেছেন তার যথার্থ প্রতিফলন যেন সবার জীবনে ঘটে। তাহলেই বড়দিনের উৎসব সবার কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে। …বলা যায়, সব ধর্মের মানুষ এই উৎসবের আনন্দের অংশীদার। প্রত্যেক ধর্মেরই মূল বাণী মানবতা। বড়দিন উপলক্ষে যে প্রেম, প্রীতি ও শান্তির বাণী প্রচার করা হয়, তার মূলেও রয়েছে মানবতা। কোন ধর্মই এই বোধ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বড়দিন মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। …সবশেষে প্রার্থনা, ঈশ্বর ও প্রভু যিশু বিশ্বের সকল মানুষের মঙ্গল করুন’ (দৈনিক জনকণ্ঠ ২৫.১২.২০২০)।
২. ‘বেথলেহেমের এক গোয়াল ঘরে যে যিশুর জন্ম হয়েছিল, তিনিই পরে আবির্র্ভূত হন ত্রাতা হিসেবে। হিংসা, বিদ্বেষ, পঙ্কিলতার বদলে মানুষকে ভালোবাসা, করুণা, মিলন ও সুন্দরের পথ দেখিয়েছেন তিনি। খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুর জন্মের মুহূর্তটি তাই এই ধর্মাবলম্বীদের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক উৎসবের মুহূর্ত। এ বছর বড়দিন উদ্যাপিত হচ্ছে এক ভিন্ন বাস্তবতায়। যিশুর সেই ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার যন্ত্রণার এক বিস্তৃত ও নবমঞ্চায়ন হচ্ছে যেন। গোটা মানবজাতিই আজ সংকটাপন্ন। এতদিনের এত অর্জন, জীবনের গতি-সবই এক লহমায় থমকে দাঁড়িয়েছে। নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এক বিস্ময়কর নীরবতার জন্ম দিয়েছে সারা বিশ্বে। এই বিনাশী নির্জনতায় মানুষ তটস্থ হয়ে উঠেছে, হাঁসফাঁস করছে। মুক্ত হাওয়ায় আগের আগের মতো শ্বাস নিতে সবার মন আইঢাই করছে। কিন্তু সেই শুভক্ষণ যেন দেখাই দিতে চাইছে না। …অন্যবারের মতো উৎসব আয়োজন ও হইহুল্লা যদি বিদ্যমান সংকটকে বাড়িয়ে তোলার ঝুঁকি তৈরি করে, তবে সে পথে না হাঁটাই হলো সুন্দরের পথ। …যিশু যে মানবিক আদর্শের বাণী প্রচার করে গেছেন, তা সর্বকালে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর শান্তির বাণী শ্বাশত। যিশুর আহ্বান ও আত্মত্যাগ সব অশুভ ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে। যিশুর সংযম, সহিষ্ণুতা ও ভালোবাসার শিক্ষা হোক সবার পাথেয়। এই বড়দিনে এই তিন মর্মবাণীকে বুকে ধারণ করে মানুষ আবার স্বস্তির সময় ফিরিয়ে আনবে—এটাই প্রত্যাশা’ (দৈনিক প্রথম আলো ২৫.১২.২০২০)।
৩. ‘…দুই হাজারেরও বেশি সময় আগে এই দিনে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক মহামানব যিশু জেরুজালেমের কাছে বেথেলহেমের এক গোয়াল ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন। হিংসা-বিদ্বেষ, অন্যায়-অত্যাচারের ও পাপাচারে নিমজ্জিত মানুষকে সুপথে আনার জন্যই যিশু আবির্ভূত হয়েছিলেন। যিশুর জন্মদিন তাই শুধু খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য নয়, সারা মানবজাতির জন্যই একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যিশুখ্রিষ্ট সারা জীবন আর্তমানবতার সেবা, ত্যাগ ও শান্তির আদর্শ প্রচার করে গেছেন। হিংসা-দ্বেষ ভুলে তিনি সবাইকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। …বড়দিন শুধু একটি উৎসবই নয়, সৌহার্দের উদাহরণ সৃষ্টি করার দিন। বড়দিন প্রত্যেক মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষা উদ্বুদ্ধ করুক, এটাই সবার কাম্য। পৃথিবী থেকে বিদায় নিক হিংসা, সাম্প্রদায়িকতা ও বর্ণবাদের মতো নিকৃষ্ট সব চিন্তাধারা। …ভালোবাসার বিস্তার ঘটকা সবার মনে। …শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধক হোক’ (দৈনিক কালের কণ্ঠ ২৫.১২.২০২০)।
৪. ‘…খ্রিষ্টধর্মের মতে, হিংসা-বিদ্বেষ, অন্যায়-অত্যাচার-পাপাচার নিমজ্জিত মানুষকে সুপথে আসার জন্যই যিশু আবির্ভূত হয়েছিলেন। শাসকের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষ নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি ওই সময়ে শাসকের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তাকে জীবন দিতে হয়েছিল ক্রুশবিদ্ধ হয়ে। মানবজাতিকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে তিনি ফেরাতে চেয়েছিলেন মমতা, ভালোবাসা ও ক্ষমাশীলতার পথে। আমরা মনে করি, সত্য ও ন্যায়ের যে দিশা তিনি দেখিয়েছেন, তা চিরন্তন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার শিক্ষা আমাদের জন্য প্রেরণার। …আমরা জানি, যিশু মানবসেবার অন্যতম আদর্শ। তার পথ ছিল সংযম, সহিষ্ণুতা ও ভালোবাসার। মানুষের নৈতিক দৈন্যের কারণে সারাবিশ্বে আজ হিংসা-হানাহানি-অশান্তি যেমন বাড়ছে, তেমনি দূর্যোগ গ্রাস করছে পৃথিবীকে। জীবনযাপনে পরিমিত বোধ, পরিবেশ সুরক্ষায় সচেষ্ট থাকা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা, হিংসা-বিদ্বেষের সহিষ্ণুতা যিশুর শিক্ষা। প্রতিটি ধর্মের মূল বাণী হলো মানবতাবোধ। বড়দিন উপলক্ষে যে প্রেম ও আশার বাণী প্রচার করা হয়, তার মূলেও রয়েছে মানবতা। (দৈনিক সমকাল ২৫.১২.২০২০)।
আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, মিডিয়াগুলো প্রভু যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন এবং তাঁর সম্পর্কে যে বিশেষণ ব্যবহার করেছেন; সেটি খ্রিষ্টবিশ্বাসীদেরকে পুনর্বার উপলব্ধি করা দরকার। পবিত্র বাইবেল মানুষকে আদেশ দিয়েছেন, ‘‘তুমি তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ, তোমার সমস্ত শক্তি ও তোমার সমস্ত চিত্ত দিয়ে তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, এবং তোমার প্রতিবেশীকে আপনার মতো প্রেম করিবে’।’’
● মিথুশিলাক মুরমু : গবেষক ও লেখক।