নজরুল ইসলাম, যশোর প্রতিনিধি • ১৯৭১সালের ৩রা মার্চ যশোরে পাক বাহিনীর গুলিতে প্রথম শহীদ হন প্রথম চারু বালা কর। দিবসটি স্মরণ করে যশোর নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে অবস্থিত শহীদ চারুবালার অস্থায়ী বেদীতে প্রতীকি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, স্মৃতি চারণসহ সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়।
৩ মার্চ সকাল দশটায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যশোর শাখা ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোর জেলা কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক প্রণব দাসের সঞ্চালনায় ও মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি সুখেন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যশোর জেলা সভাপতি হারুন অর রশীদ।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি সুকুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, মুক্তিযোদ্ধা ভীমসেন দাস, যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, আইডিইবি যশোরের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক রথি দেবনাথ প্রমুখ।
সভার শুরুতে চারু বালা করের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন, গীতাপাঠসহ স্মৃতিচারণ করে বক্তারা ১৯৭১ সালের মার্চের উত্তাল দিনে যশোরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আলোচনা করেন।
একইসাথে চারুবালা করের নিহতস্থল এলাকার শহিদ সড়কটি ‘চারুবালা কর শহিদ সড়ক’ নামকরণ ও নীলগঞ্জ শ্মশানে চারুবালা করের দখলকৃত সমাধিস্থল উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।
আশার কথা নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটি আগামী বছর স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে ।একইসাথে বেদখল হয়ে যাওয়া চারুবালা কর’র সমাধিস্থল উদ্ধার ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৭১সালের ৩ মার্চ যশোরবাসীর কাছে ঐতিহাসিক দিন। চারু বালা কর শহিদ হওয়ার পর যশোরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল।