চলমান কোটা আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির ক্ষণে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও উত্তরবঙ্গের জাতিগত সংখ্যালঘু আদিবাসী সাঁওতাল, উরাঁও, মাহালী, মুণ্ডা, রাজোয়াড়রা চরম উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছেন। প্রকাশ্যে দিনের আলোয় কিংবা রাতের আধারে একদল দুর্বৃত্ত উল্লাসের সাথে মন্দির, খ্রিষ্টান ও আদিবাসীদের গির্জা, পরিবার, গ্রাম লুণ্ঠন করার নিঃস্ব করে তুলেছে। ঘরের আসবাবপত্র, টাকা-পয়সা, গরু-ছাগল, পুকুরের মাছ, গাছ-গাছালি হরণের পর অগ্নিসংযোগ করে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানচ্যুত হয়েছেন অনেকেই। ক্রমেই এই তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ক্ষুদ্র ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হিন্দু, খ্রিষ্টান সম্প্রদায় ও আদিবাসীরা দেশের উন্নয়ন ও সেবাদান করে সর্বদা অসামান্য অবদান রেখে আসছে। অকাতরে দিয়েছেন, পেয়েছেন বঞ্চনা, হয়েছেন সহিংসতার শিকার। অনেকে ক্ষোভের সাথেই উচ্চারণ করেছে, আমরা দেশের, সমাজের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছি; প্রতিদানে আমাদের সবকিছু হারাতে হচ্ছে। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু ধর্মীয় সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও আদিবাসীরা বারবারই সহিংসতার শিকার হয়ে থাকে। কিন্তু কেন তাদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে? কেনই-বা তাদের জীবন সংকটাপন্ন করে তুলেছে? দেশ স্বাধীনতায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে, সেই অটুট বন্ধন কি তাহলে ফিকে হয়ে গেছে!

ধর্মীয় সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান ও জাতিগত সংখ্যালঘু আদিবাসীরা খুঁজে ফিরছে, কোটা সংস্কারের সাথে গির্জা, মন্দির, খ্রিষ্টবিশ্বাসী ও আদিবাসীদের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি কিংবা জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে হবে, এটা কোনোভাবেই বোধগম্য হচ্ছে না। কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সরকারের পতন এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি সাম্প্রদায়িক আচরণ যোগসূত্রও অসমর্থনযোগ্য; আনন্দ-উল্লাস হতে পারে কিন্তু নিরীহ ও সাধারণ নাগরিকের জীবন বিপন্ন করে তো উচ্ছ্বাস ও উল্লাস হতে পারে না। বিগত ৬ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য চত্বরে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীরা মানবন্ধন করেছেন, হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন কিন্তু কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে সহিংসতার ঢেউকে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হামাঙ্গা, গির্জা, উপাসনালয় ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঠেকাতে প্রতিবেশী বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দলকেই এগিয়ে আসা আবশ্যিক। কোটা সংস্কার আন্দোলনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের অংশায়ন ছিলো, সেদিন কে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু ভাবনা নিয়ে আন্দোলনে নামেনি, একটি মাত্র লক্ষ্যই ছিল, সেটি বৈষম্যের বিরুদ্ধে। একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবেই সকলে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেছেন, ‘…আমরা সবাই একটি শরীরের অঙ্গ। হিন্দু ভাইদের ওপর আক্রমণ হলে আমাদের শরীর ভালো থাকবে না।’ আরেকজন বলেছেন, ‘…ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ওপর হামলার বিচার দ্রুততম সময়ে হতে হবে। …সবাই দাঙ্গাবাজদের প্রতিরোধ করুন।’ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘সহিংসতায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে’।
‘উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম’ ও বিভিন্ন খ্রিষ্টিয়ান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত খ্রিষ্টান ও আদিবাসীদের প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার খতিয়ান অগ্রসরমান পাঠকদের জন উল্লেখ করা হলো—
আগস্ট ৫, ২০২৪
১. রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার (পাকড়ী ইউনিয়ন) দেওয়ানপাড়া গ্রামের খ্রিষ্টিয়ান ধর্মের আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের গণেশ কিস্কু এর বাড়ীতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ঘরের নগদ ক্যাশসহ প্রায় দশ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং দুর্বৃত্তরা ঘরে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় আনুমানিক রাত ৯:৩০ ঘটিকা দিকে।
২. রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার যুগিডাং (দেওপাড়া ইউনিয়ন) আদিবাসী উরাঁও সম্প্রদায়ের ৮-১০ টি পরিবারে ঘর-বাড়ি ভাঙচুর এবং হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। ঘটনার সময় আনুমানিক রাত ১০:৩০ ঘটিকা দিকে।
৩.নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার সাদাপুর খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বী আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের রঞ্জিতের খড়ের পালা পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্র্র্বৃত্তরা।
৪.নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার রাউতাড়া আদিবাসী উরাঁও সম্প্রদায়ের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় আনুমানিক রাত ১১:৩০।
৫. নওগাঁ জেলার ধামরইহাট উপজেলার ভাদগ্রাম উরাঁও সম্প্রদায়ের সুধীর তির্কির বাড়ী ও দোকান লুটপাট। ঘটনার আনুমানিক সময় বেলা ১১:৩০ ঘটিকা।
৬. নওগাঁ জেলার ধামরইহাট উপজেলার কাউয়াকড়ি, আগ্রাদ্বিগুণ গ্রামের উরাঁও সম্প্রদায়ের তারামনি উরাঁওর বাড়ি ও দোকান লুটপাট করে গুড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনার আনুমানিক সময় বেলা ১১:৩০ ঘটিকা।
৭. নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার দেওয়ানপুর গ্রামের উরাঁও সম্প্রদায়ের অলোক উরাঁওকে হত্যার চেষ্টা। শারীরিকভাবে নির্যাতন।
৮. কলাবাড়ি ইউনিয়ন, গৌরনদী, বরিশালের খ্রিষ্ট বিশ্বাসী মোহন মণ্ডল ও তার ভাইদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট লুটপাট করে একদল দুর্বৃত্ত।
৯. ত্রিশাল, ময়মনসিংহতে বসবাসরত খ্রিষ্টান পুরোহিত ডেভিড সন্তোষ চৌধুরী ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ও জিনিসপত্র তছনছ ও লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
১০. ধামসর, উজিরপুর, বরিশালের একজন খ্রিষ্টান অবসরপ্রাপ্ত মেম্বারের ঘরবাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
১১. নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে অবস্থিত খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বীদের ক্রেডিট ইউনিয়ন শাখা অফিস দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে
১২. ল্যাম্ব হাসপাতাল সংলগ্ন, পার্বতীপুর, দিনাজপুরে খ্রিষ্টানুসারী মি. সাজু’র ঘরবাড়ি লুটপাট, গরু-ছাগলসহ ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র রাত আনুমানিক ৮:৩০ মিনিটের দিকে লুটপাট করে একদল দুর্বৃত্ত।
১৩. সাতক্ষীরা তালা উপজেলার গোনালী ও হাতবাস গ্রামের খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বী মিলন সরকার, রণজিত দাস, শ্যামল সরকার, রেভা. রঘুনাথ সরকার, পরিমল সরকার, হাজরা পদ দাস, আদর দাস, সুদের দাস, মদন সরকার ও কার্তিক সরকেরের ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট ও তছনছ করে করে।
আগস্ট ৬, ২০২৪
১৪. দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কাশিন নগরে খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বী আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মুঙ্গুলু বেসরা’র বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় রাত আনুমানিক ২:০০ ঘটিকা।
১৫. রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার যুগিডাং (দেওপাড়া ইউনিয়ন) আদিবাসী উরাঁও সম্প্রদায়ের সমস্ত ঘর-বাড়ি ভাঙচুর এবং হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। ঘটনার সময় আনুমানিক দুপুর ১২:০০ ঘটিকা।
১৬. দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার বিক্রমপুরে খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বী আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সমাই বেসরা এবং রবি হেমব্রমের বাসায় দুর্বৃত্তরা হামলা ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আতঙ্কিত আদিবাসীরা চিৎকার দিলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় আনুমানিক রাত ৮:২০ ঘটিকা।
১৭. চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার টংপাড়া গ্রামের আদিবাসী রাজোয়াড় সম্প্রদায়ের চাষকৃত পুকুর/দিঘীতে দুষ্কৃতিকারীরা সমস্ত মাছ মেরে নিয়ে গেছে এবং রাজোয়াড় গ্রামকেই উচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেছে। ঘটনার সময় আনুমানিক সকাল ৭:০০ ঘটিকা হতে ১২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত।
১৮. চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মহানইল (জভে) গ্রামের খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বী আদিবাসীদের চাষকৃত চাষ জমি (যা সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত লিজ) জমি দখলের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। ঘটনার সময় আনুমানিক সকাল ৮:০০ ঘটিকা।
১৯. ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশৈংকল উপজেলার রাউতনগর খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বী আদিবাসী সাঁওতাল গ্রামে দুর্বৃত্তরা হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। ঘটনার সময় আনুমানিক বেলা ১১:৩০ ঘটিকা দিকে।
২০. ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশৈংকল উপজেলার কালুগাঁও খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বী আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের গ্রামে ঢুকে দুর্বৃত্তরা উচ্ছেদের হুমকি প্রদান করেছে। ঘটনার সময় আনুমানিক বেলা ১১:০০ ঘটিকা।
২১. দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার দরগাপাড়া খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বী আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের চাষকৃত ১২ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে পার্শ্ববর্তী গ্রামের জনৈক ব্যক্তিরা। ঘটনার সময় আনুমানিক সকাল ৮:০০ ঘটিকা
২২. দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হরিপুর খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বী আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের গ্রামে বাড়ী ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ। ঘটনার সময় আনুমানিক বিকেল ৩:০০ ঘটিকা।
২৩. দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার বিক্রমপুর খ্রিষ্টিয়ান ধর্মাবলম্বী আদিবাসী সাঁওতাল গ্রামের ৪ টি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় রাত ৯:০০ ঘটিকা।
২৪.নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার মদইল বাজারে আদিবাসী উরাঁও সম্প্রদায়ের বাবলু উরাঁও এর দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর। ঘটনার সময় আনুমানিক সময় বিকেল ৪:০০ ঘটিকা।
২৫. দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কান্তজিউ মোড়ে অবস্থিত সাঁওতাল বিদ্রোহের বীর সিধু-কানুর ভাস্কর্য ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
২৬. মান্দ্রা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জের খ্রিষ্টানুসারী মি. চিত্ত বিশ্বাসের বাড়িতে রাতে সন্ত্রাসীরা এসে মারধর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
২৭. লাকিরপাড়, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জের খ্রিষ্ট বিশ্বাসী দুলাল বিশ্বাস, অরুণা বিশ্বাসকে জিম্মি করে রাত ৯:৩০ দিকে ঘরবাড়ি লুটপাট করে।
২৮. দাশভাঙ্গা, বেগুনবাড়ি, ঠাকুরগাঁওয়ে খ্রিষ্টান পুরোহিত মোড়াই রায়-এর ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, গরু-ছাগল সবকিছু লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
২৯. তুলসিগঙ্গা, নওগাঁ সদর, নওগাঁতে চার্চ অব বাংলাদেশ গির্জাঘরে আনুমানিক রাত ৮:৩০ মিনিটের দিকে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
আগস্ট ০৭, ২০২৪
৩০. রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার সিন্দুকায় গ্রামের সাঁওতাল পল্লীতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় আনুমানিক সকাল ৯:০০ ঘটিকা।
আমরা প্রতিনিয়ত লক্ষ করছি যে, একদল অতি উৎসুক উগ্রবাদী জনতা জোটবদ্ধ হয়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উচ্ছেদ ও জীবন বিপন্ন করে ফায়দা লুটতে চেয়েছে। সরকারবিহীন রাষ্ট্র ও পুলিশ বাহিনীর অনুপস্থিতিতে সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান ও আদিবাসী-অন্ত্যজরা। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান কিংবা রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আমাদের করজোড়ে প্রার্থনা, আদিবাসী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করুন। খ্রিষ্টানুসারীরা প্রতিনিয়ত আকুলভাবে প্রার্থনা করেন ও বিশ্বাস করেন, ‘যে রাজা সত্যভাবে দীনহীনদের বিচার করেন, তাঁহার সিংহাসন নিত্য স্থির থাকিবে’ (হিতোপদেশ ২৯:১৪)।
