২০২২ সালের জনশুমারী অনুযায়ী, বাংলাদেশের খ্রিষ্টানুসারীদের গ্রাফচিত্র নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের মধ্যে পরিসংখ্যানের হেরফের না হলেও এবার জনসংখ্যা পরিবর্তন এসেছে। ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার ০.৩ শতাংশ খ্রিষ্টানদের জনসংখ্যার হার থাকলেও ২০২২ সালে কমে গেছে। কেন কমে গেছে সেই বির্তক গবেষণার বিষয়; তবে স্বাধীনতা কিংবা স্বাধীনতার পরবর্তীকালেও এযাবৎ খ্রিষ্ট বিশ্বাসীদের সেবা ও সাক্ষ্যের যে তথ্যাদি—এতে কোনো ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গঠন ও পুনর্বাসনে উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো অসামান্য অবদান রেখে চলেছে অদ্যাবধি। মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করে দেশপ্রেম, মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা ও দরদ এবং নেতৃত্বের আনুগত্য প্রকাশের মধ্যে দিয়ে সত্যিই অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। খ্রিষ্টানুসারীরা প্রতিদিন ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুশাসন রীতি অনুযায়ী, প্রার্থনা-উপাসনায়, উৎসব কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানেও দেশ, জাতি, শাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য স্রষ্টার দরবারে আর্জি তুলে ধরে থাকে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, ‘…যেন সকল মানুষের নিমিত্ত, বিনতি, প্রার্থনা, অনুরোধ ধন্যবাদ করা হয়; (বিশেষত) রাজাদের ও উচ্চপদস্থ সকলে নিমিত্ত; যেন আমরা সম্পূর্ণ ভক্তিতে ও ধীরতায় নিরুদ্বেগ ও প্রশান্ত জীবনযাপন করিতে পারি। তাহাই আমাদের ত্রাণকর্তা ঈশ্বরের সম্মুখে উত্তম ও গ্রাহ্য।’
বাংলার ভূখণ্ডে প্রথম খ্রিষ্টিয়ানিটি বীজ রোপিত হয় ১৫১৮ সালে চট্টগ্রামের দিয়াং পাহাড় এলাকায় পর্তুগিজ বণিকদের হাত ধরে। ১৫৩৭ সালে থেকে পর্তুগিজ বণিকরা স্থায়ীভাবে বসবাস করে চট্টগ্রামে। দক্ষিণ ভারত থেকে দূরবর্তী এলাকার চট্টগ্রামের খ্রিষ্ট বিশ্বাসীদের আত্মিক পরিচর্যার লক্ষ্যে ১৫৯৮ সালে প্রথম খ্রিষ্টান মিশনারীদের আগমন ঘটে এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৫৯৯ দিয়াংয়ে গির্জাঘর নির্মাণ করেন ফাদার ফ্রান্সিসকো ফার্নান্দেজ, উদ্বোধন করা হয় ১৬০০ সালের ২৪ জুন। প্রথম গির্জাঘর উদ্বোধন করা হয় এ বছরের ১লা জানুয়ারি সাতক্ষীরা জেলার ঈশ্বরীপুরে। পরবর্তীকালে চট্টগ্রামে আরো দুটি গির্জাঘর নির্মিত হয় একটি পাথরঘাটা ব্যান্ডেলে ও জামালখান এলাকায়। ইতিমধ্যে খ্রিষ্টানুসারীদের আগমনের পাঁচ ’শ বছর পূর্তি উৎসব উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম আর্চ ডায়োসিস ২০১৯ সালে। ধূসর ইতিহাসে পাওয়া যায়, খ্রিষ্ট বিশ্বাসের কারণে আরাকান রাজের নির্দেশে তাকে (ফাদার ফ্রান্সিসকো ফার্নান্দেজ) মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করা হয়। পূর্ববঙ্গের প্রথম খ্রিষ্ট শহীদের সমাধির ওপরই নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রাম ক্যাথেড্রাল গির্জা। পূর্ববঙ্গে খ্রিষ্ট বিশ্বাসের কারণে দিয়াং এলাকায় প্রাণ দিতে হয়েছিল প্রায় ৬০০ নারী-পুরুষকে। এটি ঠিক যে, খ্রিষ্ট বিশ্বাসের যাত্রার ৫০০ বছরে বিকশিত হলেও সংখ্যায় তেমন বাড়েনি কিন্তু বিকশিত হয়েছে সেবার গুণগত দিক দিয়ে।
অপরদিকে আধুনিক মিশনের জনক হিসেবে খ্যাত ড. উইলিয়াম কেরি বাংলার ভূখণ্ডে পৌঁছেছেন ১৭৯৬ সালে দিনাজপুরের সাদামহলে। ইংরেজ মিশনারি হলেও বৃটিশ সরকারের সহায়তা কিংবা আনুকূল্য পাননি। ১৭৫৭ সাল থেকে প্রবল প্রতাপে ইংরেজ কোম্পানির যাত্রা শুরু হলেও ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতেই ছিল মশগুল; ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় রাষ্ট্র গঠনের দিকে তাদের কোনো মনোযোগ ছিল না। ১৭৯৩ সালে ব্যাপ্টিষ্ট মিশনারি সোসাইটি (বৃটিশ) পক্ষে ড. উইলিয়াম কেরি ডেনমার্কের কলোনি শ্রীরামপুরে পদার্পণ করেন। এ সময় ইংরেজ শাসিত অঞ্চলে মিশনানিদের আগমন নিষিদ্ধ ছিল। উইলিয়াম কেরি তাই ডেনিস শাসিত শ্রীরামপুরেই প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। মিশনারিরা এসেছেন, ফিরে গেছেন; সেবা ও উন্নয়নের কাজ করতে গিয়ে কখনো সুখকর আবার কখনো ভারাক্রান্ত মনে প্রত্যার্বতন করেছেন। তবে হ্যাঁ, অনেকেই বাংলাদেশের মাটি ও মানুষকে, আবহাওয়া ও পরিবেশকে ভালোবাসে আমৃত্যু থেকে গেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে মিশনারীদের সাহসী ভূমিকা, আপামর জনসাধারণে পাশে দাঁড়ানো কিংবা শহীদ হওয়ার ঘটনাকে দৈব্যক্রমে বলে খাটো করা যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা মিশনারীদের যর্থাথই স্বীকৃতি দিয়ে সম্মানিত করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপ্রত্যাশিতভাবে ২৩ মে গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথেই বলেছেন, ‘পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে: প্রধানমন্ত্রী’ (যুগান্তর ২৪ মে, ২০২৪)। দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিবেদন করেছে, ‘ফিলিস্তিনের মতো বাংলাদেশের একটা অংশ চট্টগ্রাম, মিয়ানমার নিয়ে খ্রিস্টান স্টেট (রাষ্ট্র) বানাবে। বে অব বেঙ্গলে (বঙ্গোপসাগরে) একটা ঘাঁটি করবে। তার কারণে হচ্ছে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য চলে, আর এই জায়গাটাতে কোনো কন্ট্রোভার্সি নেই, কারো কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বঙ্গোপসাগর ভারত মহাসাগরের ভেতরেই একটি উপসাগর, এটা প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার হচ্ছে। এই জায়গাটার ওপর অনেকের নজর। …দেশটার যে উন্নতি হচ্ছে সেটাও অনেকের পছন্দ না।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের বক্তব্যের পরপরই দেশের খ্রিষ্টান সমাজ দেশবাসীর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
‘ইউনাইটেড ফোরাম অব চার্চেস বাংলাদেশ’ (ইউএফসিবি) ও ‘বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনী’র (সিবিসিবি) সভাপতি হিসেবে আর্চবিশপ বিজয় ডি’ক্রুজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে অক্লান্ত, নিরলস ও নিবেদিত দেশনেত্রী হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। উপরন্তু দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তিনি যে দৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন, তা আমরা বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সমাজ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার ও সমর্থন করি। বিগত ২৩ মে, ২০২৪ সাণে গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন চৌদ্দ দলের প্রধান নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন যা বিভিন্ন যোগাযোগ মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। সেখানে তাঁর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে যা বলা হয়েছে তার সারসংক্ষেপ হচ্ছে: “পূর্ব তিমুরের মতো, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং মিয়ানমারের কিছু অংশ নিয়ে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে এবং চক্রান্ত এখনো আছে।” উপরোক্ত খবরটি শুনে, আমরা বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সমাজ ও তার কর্তৃপক্ষ “বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনী” এবং “ইউনাইটেড ফোরাম অব চার্চেস” সত্যিই অবাক, বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন।
সাম্প্রতিককালে কোন রাষ্ট্রকে “খ্রিষ্টান রাষ্ট্র” বলে আখ্যায়িত করার যুক্তি ও প্রচলন বিরল। বিশ্বায়নের যুগে এবং অসাম্প্রদায়িক নীতির কারণে এরূপ আখ্যায়ন কোনো ধর্মের জন্যেই সমর্থনযোগ্য নয়। উল্লেখিত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মতামত ব্যক্ত করেছেন তার সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনার প্রচেষ্টাকে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। এ কাজে আপনার প্রচেষ্টা যেন সফল হয় তার জন্য প্রার্থনা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থান্বেষী মহল, দেশে, বিরাজিত ধর্মীয় সুসম্পর্ক, সম্প্রীতি ও শান্তি যেন কোনোভাবে বিঘ্নিত করতে না পারে এবং দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে কোনো হুমকির সম্মুখীন হতে না হয়, তারজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সজাগ দৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানাাচ্ছি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারের জন্য, সকল দেশবাসীর জন্য এবং সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশি নেতৃবৃন্দের জন্য প্রার্থনা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে সর্বদা একটি নেতিবাচক ধারণা আমরা লক্ষ করেছি। পার্বত্য এলাকাটি আদিবাসীদের অধ্যুষিত এলাকা, বসবাস করছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, পাংখোয়া, তঞ্চচঙ্গ্যা, ম্রো, খিয়াং, বম, লুসাই, খুমী, চাক, সাঁওতাল, মিজো, রাখাইনসহ আরো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী। ধর্মের দিক থেকে অধিকাংশ চাকমা ও মারমা বৌদ্ধধর্মের অনুসারী, ত্রিপুরা আদিবাসীরা হিন্দু ধর্মের আর মিজো, বম, পাংখোয়া ও খিয়াংরা খ্রিষ্টান। অন্য কতকগুলো জাতিগোষ্ঠী গোত্র আত্মা, প্রাণী ও উদ্ভিদের পূজারী। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা ধর্মীয় অবস্থা ও অবস্থান আলোচনার জন্য প্রাণিধানযোগ্য। জেলাভিত্তিক পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যার তথ্যচিত্র।
দ্বিতীয়ত—আমরা গভীরভাবেই পর্যবেক্ষণ করে আসছি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহের তথ্য-উপাত্তসমূহ। এ অঞ্চলের আদিবাসীরা ক্রমশই ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে, অনুরূপভাবে আদিবাসী ও অআদিবাসীদের উপস্থিতি প্রায় সমান সমানে পৌঁছিয়েছে। আদিবাসীদের উপস্থিতি ক্রমশই হ্রাসের বিষয়টি সচেতন মহলের দৃষ্টিতেও ধরা পড়েছে। বিভিন্ন সময়ের আদমশুমারী-জনশুমারী তথ্যাদি উপস্থাপন করা হলো—
তৃতীয়ত—পূর্ব বাংলা তথা পূর্বপাকিস্তানের পরবর্তীকাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের যত জাতীয় পরিষদ সদস্য বা সাংসদ হয়েছেন, কেউ-ই ধর্মের দিক থেকে খ্রিষ্টানুসারী নন; কালেভাদ্রে দু-একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি অনেকেই রয়েছেন যারা পাহাড়ে খ্রিষ্টান ধর্ম পালনে বাধাগ্রস্ত হলেও নিশ্চুপ থেকেছেন। অর্থাৎ পাহাড়ে খ্রিষ্টানুসারীদেরকে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করেই টিকে থাকতে হচ্ছে।
চতুর্থত—কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) একটি বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন, ইতিমধ্যেই বম জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কেএনএফকে প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। শান্তিচুক্তির পর আভ্যন্তরীণ অসন্তোষ তথা চাওয়া-পাওয়া নিয়ে কোন্দল এবং এটির চূড়ান্তরূপ হচ্ছে কেএনএফ। আমরা চাই, শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী দুর্বৃত্তদের আইনানুযায়ী বিচারের মুখোমুখি ও আইনানুযায়ী শাস্তির বিধান নিস্পত্তি করতে।
বাংলাদেশের খ্রিষ্ট সমাজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কোনো প্রশ্নই উঠে না। ঐতিহাসিক সত্য হচ্ছে, মুজিবনগর সরকার থেকে শুরু করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে খ্রিষ্টানুসারীরা সম্পৃক্ততা থেকে সার্বভৌম রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধে শত্রু সেনাদের উৎখাত করতে সর্বশক্তি ব্যয় করে কেউ আহত, শহীদ এবং সরাসরি যুক্ত হয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসার স্বাক্ষর রেখেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বোমাং রাজার ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগদান ও অংশগ্রহণ নিয়ে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মৎস্য শিকার করার চেষ্টা করেছে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ও বাইরের শক্তির সম্মিলনে ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে।
বৈদেশিক রাষ্ট্রের সাথে যুক্ত থেকে ষড়যন্ত্র করার অর্থই হচ্ছে দেশদ্রোহী। আর এই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের দায়ভার কোনোভাবেই এ দেশীয় খ্রিষ্টানুসারীদের ওপর চাপানো কাম্য নয়। আমরা জাতির জনকের বাংলাদেশকে ভালোবাসি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ক্ষুণ্নতা আমাদের আত্মসম্মানে চপেটাঘাত করে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় খ্রিষ্টানুসারীরা পেছনে ছিল না, সম্মুখে থেকেই প্রতিহত করবে।