অ্যাজমা অনেক সময়ই গুরুতর রোগ। এই অসুখের ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কারণ অ্যাজমা আক্রান্ত রোগীরা বুঝতেও পারেন না যে ঠিক কী কারণে সমস্যা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আর যখন শ্বাসকষ্ট হয়, তখন আর ঠিক থাকা যায় না।
অ্যাজমা যেকোনো ঋতুতেই হতে পারে। কিন্তু দেখা গিয়েছে যে বর্ষার সময় সমস্যা আরও বেশি করে দেখা দিতে পারে। কারণ এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা থাকে বেশি। আর এই আর্দ্রতা অনেকে সহ্য করতে পারে না। এছাড়া দেখা গিয়েছে যে এই সময়ে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বাড়ে। এই কারণে খুব সহজেই শরীরে সংক্রমণ তৈরি হয়ে যায়। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে প্রতিটি অ্যাজমা রোগীকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
অ্যাজমা ফুসফুসের রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে শ্বাস নিতে অনেকটাই সমস্যা হয়। ফলে মানুষ ভালো থাকতে পারেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হয়। এক্ষেত্রে সূর্যালোক কম সময় থাকে। ফলে ত্বকে পৌঁছায় না রোদ। এবার এই কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে যান। এক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি, কাশি, শ্বাস আটকে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে এই নিয়ম মানুন।
সুস্থ থাকতে কী করবেন?
১. অ্যাজমা থাকলে ড্যাম্প জায়গায় যাবেন না। এক্ষেত্রে ঘরে বা বাড়িতে ড্যাম্প থাকলে তা দ্রæত ঠিক করে নিন। তবেই সমস্যার সমাধান করে নিতে পারেন।
২. এক্ষেত্রে বাথরুম ও রান্নাঘর শুকনো রাখতে হবে। কারণ ভেজা ভেজা থাকলে এখানে কাজ করার সময় আপনার সমস্যা হতে পারে।
৩. এই রোগীদের নিয়মিত সময় ব্যবধানে নিয়ে নিতে হবে ইনহেলার। এক্ষেত্রে সমস্যা হলেই ইনহেলার নিন। কারণ ইনহেলরা বন্ধ হলে সবসময়ই খারাপ দিকে নিয়ে যায়।
৪. বাড়িতে যদি কোনো পোষ্য থাকে, তবে তার থেকে দূরত্ব রাখবেন। কারণ নাক দিয়ে পোষ্যের লোম ঢুকে সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
৫. ফাঙ্গাস থেকেও অনেকের সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। তাই বাড়িতে কোথাও ফাঙ্গাস দেখা দিলে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
৬. এই সময়টায় খাবারদাবারের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। খেতে হবে মৌসুমি ফল, শাক, সবজি। তবেই আপনি ভালো থাকতে পারবেন। নইলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
হেলথ ডেস্ক