বিভাগীয় সম্পাদক ● আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩০টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল বিএনপি। বাকি ৭০টি আসনের প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে। ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচ জন সাবেক সংসদ সদস্য।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। অবশ্য এ সময় দলের চেয়ারম্যান সমশের মবিন চৌধুরী ও নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা অনুপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূল বিএনপি ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় থাকা সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্য হলেন—ঝিনাইদহ-২ আসনে নুরুদ্দিন আহমেদ, মেহেরপুর-২ আসনে আবদুল গণি, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের এম এ আউয়াল, মৌলভীবাজার-২ আসনে এম এম শাহীন ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের এইচ এম গোলাম রেজা।
এছাড়া তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ), নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা মুন্সিগঞ্জ-১ ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ–১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম’ দলটি তৃনমূল বিএনপির প্রতীকে নির্বাচনে যাচ্ছে। দলটির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম-৫ আসনে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন ফেনী-৩ আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। দলটির নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই।
‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’ নামে ১৫–দলীয় একটি রাজনৈতিক মোর্চা তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে। এই জোটের আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল লক্ষ্মীপুর-১ এবং সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম খান ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তারের ছেলে মাইনুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন গোপালগঞ্জ-৩ এ কোনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি তৃণমূল বিএনপি। এ বিষয়ে তৈমুর আলম বলেন, ‘গোপালগঞ্জ-৩ আসনে একজন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তার ব্যাংক ঋণ থাকায় আমরা বিকল্প প্রার্থী খুঁজছি।’
কিছু আসনে তৃণমূল বিএনপি একাধিক প্রার্থী দিয়েছেন। এ বিষয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, সামান্য কারণেও অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। মনোনয়ন ফরম জমা ও প্রত্যাহারের মধ্যে বেশ কিছুটা সময় পাওয়া যায়। এর মধ্যে এলাকায় যাদের জনপ্রিয়তা বেশি থাকবে, তাদের দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে।
দলের প্রার্থী নির্বাচনে মধ্যবিত্ত ও জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেওয়া বলেও জানান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কারণ হিসবে তৈমুর আলম বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়নি। কিন্তু সরকার গঠন তো ঠেকানো যায়নি। এবারও কেন সরকারকে ব্ল্যাংক চেক দেবো? তাদের ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পাস করতে দেবো না।’