বর্তমানে ডেঙ্গুর উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলছে। ডেঙ্গু ছড়ানো অ্যাডিস মশা সাধারণত সকালে ও সন্ধ্যার আগে কামড় দেয়। তবে মশার উৎপাত বাড়ে সন্ধ্যায়। মশার থেকে মুক্তি পেতে রেপেলেন্ট, কয়েল বা স্প্রের উপর নির্ভর করি। কিন্তু মশা মারার এই সমস্ত ওষুধই তৈরি হয় নানান ভারী রাসায়নিক ব্যবহার করে। সে ক্ষেত্রে এই রাসায়নিকগুলি বাড়িতে বসবাসকারী সদস্যদেরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর ফলে অনেকের শ্বাসকষ্ট বা মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।
এখানে এমন কিছু ওপায় জানানো রইল যার সাহায্যে সহজেই বাড়ি থেকে মশা তাড়ানো যাবে।
দরজা-জানলা বন্ধ করুন সন্ধ্যার আগেই
মশা মুক্ত ঘর চাইলে সন্ধ্যা নামার আগেই নিজের বাড়ির দরজা, জানালা বন্ধ করুন। তবে জানালায় নেট লাগানো থাকলে কোনো সমস্যা নেই। দিনের বেলা সূর্যের রশ্মিতে মশার উপদ্রব কম থাকে। কিন্তু অন্ধকার নামতে শুরু করলেই বাড়িতে ঢুকতে শুরু করে মশার ঝাঁক।
আবার দরজা ও জানালা বন্ধ করলেও, এগুলির তলা অথবা পাশের ফাঁক ফোকর দিয়ে গলে বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেন মশা। তাই দরজা ও জানালার ফাঁকা অংশে লাগান স্ট্রিপ। আজকাল অনলাইনে সহজেই বিভিন্ন রকম ডোর স্ট্রিপ কিনতে পাওয়া যায়।
মশার প্রজনন আটকান
লক্ষ রাখুন, মশারা যাতে আপনার বাড়িতে নিজের বংশ বিস্তার না-করতে পারে। এসির জমা পানি, ছাদ বা বাগানের কোনো অংশে পানি জমে থাকলে মশারা সেখানেই বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। তাই বাড়ি ও বাগান নিয়মিত পরিষ্কার করুন। আবার কোথাও পানি জমে থাকলে সেখানে কফির গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। সেখানে মশা ডিম পেড়ে থাকলে, তা ওপরে ভেসে উঠবে এবং অক্সিজেনের অভাবে সেগুলি বাঁচতে পারবে না। আবার স্টোর রুম থাকলে, সেখানেও খুব বেশি দিন নোংরা বা জঞ্জাল জমা হতে দেবেন না। কারণ এমন স্থানেও মশা বংশবিস্তার করতে পারে।
তুলসি গাছ লাগান
মশা তাড়ানোর অন্য একটি সহজ উপায় হলো বাড়ির মধ্যে মসকিউটো রেপেলেন্ট গাছ রাখা। ছোট আকারের এই গাছগুলিকে সহজেই বাড়ির কোনো কোণে বা ডেস্কের ওপরে রাখা যেতে পারে। এই গাছগুলি শুধু মশাই নয়, অন্যান্য কীটপতঙ্গ বা ইঁদুরও তাড়াতে সাহায্য করে।
এমনই কয়েকটি গাছ হলো গাঁদা, তুলসি, লেমনগ্রাস, সিট্রোনেলা, পুদিনা এবং ক্যাটনিপ। এঁদের মধ্যে কোনো গাছ বাড়িতে থাকলে, মশা তাড়াতে সুবিধা হবে।
লেবু ও লবঙ্গ রাখুন
মশা তাড়ানোর বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায়। মশা লবঙ্গ ও টক দ্রব্যের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই একটি লেবুকে দু টুকরো কেটে, তাতে কয়েকটি লবঙ্গ গুঁজে দিন। এর পর বাড়ির নানান স্থানে এগুলো রেখে দিন। এটি প্রাকৃতিক ও ক্ষতিহীন ঘরোয়া মসকিউটো রেপেলেন্ট। নূর জামাল