
সাইদুল ইসলাম
মুখোশ
শূন্যতা আমার মুখোশ
তাকে সাজাই নানা রঙে
নানা প্রকারে
শূন্যেই আমি অপেক্ষা করি
তুমি আসবে
আর পিষ্ট করে দিবে
বাঁচার সকল আয়োজন
বাঁচার আকুতি
আমার মুখের উপর
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দরজা
দরজার ওপাশে যে আছে
আমি কল্পনা করি তাকে
তার পোশাক খ’সে
বেরিয়ে পড়ছে কাঁটাগুলো
আর কাঁটায় বিঁধে
চুঁইয়ে পড়ছে ডাহুকের রক্ত
আমার পথে পথে
ছড়িয়ে পড়ছে বাঁচার আকুতি

জাহাঙ্গীর জয়েস
বন
সাদা, নীল, সবুজ, ডিমের কুসুমের মতো হলুদ ফুল ফুটে আছে বনে। সূর্য থেকে রোদ এসে প্রজাপতির সাথে খেলা করে সেখানে। গাছের সারির ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসে অজানা পথ আর কোমল পায়ে হাঁটতে থাকে বনজুড়ে।
বৃক্ষ
গোপন ক্রোধ বা অন্ধতায় তোমরা বারবার ডালপালা কেটে দাও, আমূল উপড়ে ফেলো তবুও হামাগুড়ি দিয়ে জেগে ওঠে, হাত বাড়ায় মাথা উঁচু করে। তোমাদের অতি নিম্নমানের অহমিকায় হাসতে হাসতে ঘেমে ওঠে তারা। সবুজ ঘাসের ভেতর থেকে সাদা ফুলের মতো বুক টানটান করে বেড়িয়ে আসে। তোমরা ভাবতেই পারো না, তোমাদের উপড়ে ফেলা ভূমিতে কীভাবে আবার জন্ম নেয় তারা!

নায়েম লিটু
বিস্মৃতির চোরাবালি
মরা শিং মাছের কাঁটায় কতটা বিষ
বাঁচার ভান করে যে মরে আছে কাঠ হয়ে
চিলেকোঠায় ঘাপটি মেরে, সে হয়ত
কিছুটা বোঝে; রাত-বিরাতে পায়রার খোপের
জানালা দিয়ে আসা দক্ষিণ হাওয়া
যখন ছাট দেয় গায়ে…
বিস্মৃতির চোরাবালি থেকে জাগে ছেঁড়া ছেঁড়া দৃশ্য
জাগে সমুদ্রের নুন, জাগে ক্ষয়ে আসা নিঃসঙ্গ চাঁদ
জীবনের চেয়েও যে একা;
ঘোলা জলের পরত মাখা ডুবুরি
করুণ দুঃসাহসে ফের দম নিয়ে
অতলে দেয় ডুব গভীর খননে…
বাঁচার ভান করে মরা কিংবা
মরার ভান করে বাঁচার জলের বুদবুদের বিভ্রম ..