কী করে যে তোমাকে শুইয়ে দিতে পেরেছি এখানে শীতল মাটির নিচে? মা, তুমি নিথর নিদ্রা মুড়ি দিয়ে আছো; ফাল্গুনের রোদ বিছানো কাফন-ঢাকা শরীরে, তোমার উন্মোচিত মুখ স্পর্শ করে শেষবারের মতন। বজ্রের আওয়াজ কর্জ করে যদি ডাকি বারবার, তবুও তোমার এই ঘুম ভাঙবে না কোনওদিন, কোনওদিন আর। নির্বিকার গোরখোদকের কোদালের মাটি-খোবলানো ঘায়ে দ্বিপ্রহরে আমার পাঁজ বোবা আর্তনাদ করে। মানুষের কী স্বভাব! এখানেও কতিপয় লোক কিয়দ্দূরে তুমুল বচসা করে না জানি কী নিয়ে! টাকাকড়ি? দলাদলি? কবর বাধানো বিষয়ক জটিলতা? মাঝে মাঝে নিভৃত কোকিল ডেকে ওঠে।
বলতে বুক পোড়োবাড়ি হয়ে যাচ্ছে, তবু বলছি মা, তোমার আমার দেখা হবেনা কোথাও কোনও কালে; আমিও তোমারই মতো অস্তিত্ববিহীন হয়ে যাব কোনও দিন, শুধু মাঝে মাঝে ধু ধু স্মৃতিকণারূপে ছুঁয়ে যাব কি যাব না কারও কারও ভুলো মন! মা, তোমার শিয়রে গোলাপ রেখে হৃদয়ে সায়াহ্ন নিয়ে পথ হাঁটি, প্রাণে ঝরে মরা পাতা, মৃদু হাওয়া বন্দিনীর শীতল ফোঁপানি, চোখ বড়ো বেশি জ্বাালা করে।
—মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে, শামসুর রাহমান
পৃথিবীর প্রতিটা কবর খেকে উচ্চারিত হচ্ছে, ভয় হতাশা, বেদনা, অনিশ্চয়তা, শঙ্কা ও আর্তনাদের কথা।
মৃত্যু ভয় আমরা শঙ্কিত, কারণ মৃত্যুই পারে মানুষের জীবনকে থামিয়ে দিতে। আজকে আমি এমন একটি মৃত্যু এবং কবরের কথা বলব যেখান থেকে ভয়-হতাশা-শঙ্কা নয়, কিন্তু প্রভু যীশুখ্রীষ্ট উচ্চারণ করেছেন মহা আশার বাণী, মহা নিশ্চয়তার বাণী!
সেই মৃত্যু এবং কবরটি হচ্ছে, মার্থা ও মরিয়মের ভাই লাসারের। যেখানে উপস্থিত ছিলেন লাসারের পরিবার, তার আত্মীয় প্রিয়জন, যিহুদী নেতারা, যীশুর শিষ্যরা এবং অনেক দর্শক-শ্রোতারা!
লাসারের মৃত্যুর ঘটনার কথা যদি ভাবি, লাসার মারা গিয়েছেন, তাকে কবর দেয়া হয়েছে এবং তিনি চার দিন কবরে আছেন! সকলেই ভীত এবং শোকার্ত! কিন্তু এখানেই ঘটনার শেষ নয়, লাসারের মৃত্যু ও কবরকে ঘিরে উচ্চারিত হয়েছে মহা আশার বাণী, মহা নিশ্চয়তার বাণী!
প্রথম আশার বাণী
যীশু শুনে কহিলেন, এই পীড়া মৃত্যুর জন্য হয়নি; কিন্তু ঈশ্বরের গৌরবের নিমিত্ত, যেন ঈশ্বরের পুত্র এ দ্বারা গৌরবান্বিত হন। যোহন ১১:৪।
যদি আমরা কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হই বা ঈশ্বর এই ধরনের পরিস্থিতির অনুমতি দেন, তাহলে সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে, এর মধ্যে ঈশ্বরের কোনো মঙ্গল চিন্তা রয়েছে এবং যেটি হয়েছে তার মধ্য দিয়ে ঈশ্বর গৌরবান্বিত হবেন। ঈশ্বর আমাদের জীবনে যে সঙ্কল্প করেন সেটা মঙ্গলের সঙ্কল্প। এই পরিস্থিতির মধ্যে যেন আমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচরণ না করি, পাছে আমরা পাপ করে বসি।
দ্বিতীয় আশার বাণী
তিনি এই কথা বললেন; আর এর পরে তাঁদের বললেন আমাদের বন্ধু লাসার নিদ্রা গেছে, কিন্তু আমি নিদ্রা হতে তাকে জাগাতে যাচ্ছি। যোহন ১১:১১।
বিশ্বাসীরা মরে না! বিশ্বাসীদের মৃত্যু, অনন্ত জীবনে বা স্বর্গে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ মাত্র। বিশ্বাসীদের মৃত্যু মানে—পুনরুত্থানের ভাগী হওয়া। বিশ্বাসীদেরকে পুনরুত্থানের সন্তান বলা হয়েছে, এর মানে তারা মৃত্যুর সন্তান নয়। আর পুনরুত্থানের সন্তান হওয়া মানে আমরা ঈশ্বরের সন্তান। লূক ২০:৩৫-৩৮ আমরাও পুনরুত্থিত হব! মৃত্যুর হুল ভেঙে দিয়েছেন আত্মিক মৃত্যুর আর কোনো কর্তৃত্ব নেই আমাদের বিশ্বাসীদের জীবনে। কারণ যীশু মৃত্যুকে জয় করে উঠেছেন!
মার্থার উক্তি—অতীত! মার্থা যীশুকে কললেন, প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন, আমার ভাই মরত না যোহন ১১:২১।
মরিয়মের উক্তি—অতীত! প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন, আমার ভাই মরত না। যোহন ১১:৩২। অনেক সময় আমরা অতীতকে বিশ্বাস করি।
তৃতীয় আশার বাণী:
যীশু তাঁকে কললেন, তোমার ভাই আবার উঠবে। যোহন ১১:২৩,
পুনরায় মার্থার উক্তি—ভবিষ্যত! মার্থা তাঁকে কললেন, আমি জানি, শেষ দিনে পুনরুত্থানে সে উঠবে যোহন ১১:২৪।
যীশু বর্তমান, যীশু স্বয়ং উপস্থিত! তারপরও অতীতকে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎকে বিশ্বাস করি, কিন্তু বর্তমান যে প্রভু আমাদের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছেন এবং তিনি অদ্ভুত কার্য, অলৌকিক কার্য আমাদের জীবনে করতে পারেন এটিকে আমরা বিশ্বাস করতে পারি না। মার্থা এবং মরিয়ম অতীতকে বিশ্বাস করেছিল, ভবিষ্যতকে বিশ্বাস করেছিল। কিন্তু বর্তমানকে নয়? যীশু স্বয়ং উপস্থিত! কিন্তু বর্তমান আমাদের কাছে ধ্রুবতারার মতো সত্য। যীশু তাদের সাক্ষাতে দৃঢ়তার সঙ্গে “পরিত্রাণের বার্তা” ঘোষণা করলেন—
চতুর্থ আশার বাণী
যীশু তাঁকে কললেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন; যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে মরলেও জীবিত থাকবে; যোহন ১১:২৫।
একবার চিন্তা করুন এ বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ জন্মগ্রহণ করেছে এবং মারা গিয়েচে। কিন্তু সমস্ত মানব ইতিহাসে একজন মাত্র ব্যক্তি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন। মৃত্যুর শক্তি কত একবার চিন্তা করুন। মৃত্যুর কাছে সকল মানুষ অসহায়। মৃত্যু তাদেরকে কবরে আটকে রেখেছে, সেজন্য মৃত্যুকে ভয় পায়। কিন্তু যীশুখ্রীষ্ট সেই মৃত্যুকে পরাজিত করে উত্থিত হয়েছেন সুতরাং মৃত্যুর ক্ষমতার চেয়ে তার ক্ষমতা বেশি। তিনি আর কখনো মরবেন না, মরতে আসবেনও না! মৃত্যুর কোনো কর্তৃত্ব তার উপরে আর নেই। যীশু ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি জীবন্ত! তিনি বলেছেন, আমি মরেছিলাম, আর দেখো আমি যুগ পর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত, আর মৃত্যুর ও পাতালের চাবি আমার হাতে আছে। প্রকাশিত বাক্য ১:১৮।
ঈশ্বর পুত্র প্রভু যীশু খ্রীষ্ট ছিলেন নিজেই জীবন! এবং তিনি ছিলেন মৃত্যু ও অন্ধকার অপেক্ষা শক্তিমান। এজন্যই তিনি কবর থেকে বিজয়ী হয়ে উঠেছেন এবং প্রভু যীশু বিজয়ী হয়ে উঠেছেন—যেন তিনি আমাদেরকেও আত্মিক মৃত্যু থেকে ধার্মিকতার বিজয়ী জীবনে উত্থিত করতে পারেন।
মৃত্যু এবং কবরই শেষ ঠিকানা নয়! সমাধির পরেও প্রত্যাশা রয়েছে! আজকে আমাদের শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ আমাদের জন্য রয়েছে অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তা। পরিত্রাণের নিশ্চয়তা। অনন্তকাল তাঁর সঙ্গে থাকবার নিশ্চয়তা! আর এটিই বর্তমান। এটি কোনো অবিশ্বাস্য ও রূপকথার গল্প নয়, “আমি পুনরুতথান এবং জীবন, যে আমাতে বিশ্বাস করে সে মরিলেও জীবিত থাকিবে” আর এটিই চূড়ান্ত সত্য! এটি কোন কল্পনা বা আবেগের ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি কোনো মায়া-ভ্রম বা ইন্দ্রজালের ব্যাপার নয়। যীশু খ্রীষ্ট পুনরুত্থান এবং জীবন এটি অকাট্য প্রমাণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
পৌল বলেছেন, ১ করি ১৫:৫৪-৫৬ মৃত্যু জয় কবলিত হলো! মৃত্যু তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু তোমার হুল কোথায়? মৃত্যুর হুল পাপ ও পাপের বল ব্যবস্থা। কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক তিনি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমাদের জয় প্রদান করেন আজকে আমরা বিজয়ী অপেক্ষা অধিক বিজয়ী!
এজন্য তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন “আমি পুনরুত্থান এবং জীবন, যে আমাতে বিশ্বাস করে সে মরিলেও জীবিত থাকিবে। আর যে কেহ জীবিত আছে, এবং আমাতে বিশ্বাস করে, সে কখনও মরিবে না; ইহা কি বিশ্বাস কর? যোহন ১১:২৬।
একটি বড়ো প্রশ্ন আমাদের জন্য। একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য! আমরা অনেকেই মৃতদের মধ্যে জীবনের খোঁজ করে থাকি? কিন্তু প্রভু যীশুই একমাত্র পথ সত্য ও জীবন! অনেকেই আমরা প্রভু যীশুকে বিশ্বাস করি না, তার পুনরুত্থান বিশ্বাস করিনা, ফলে পাপে, হতাশায় ও অন্ধকারে মৃত জীবনযাপন করি। আজকে পুনরুত্থানের এই দিনে, সুযোগ আছে আপনিও অনন্ত জীবনের অধিকারী হতে পারেন। আজকে যীশু আপনাকে বলছেন, “আমি পুনরুত্থান ও জীবন যে আমাকে বিশ্বাস করে, সে মরলেও জীবিত থাকবে, আর যে কেহ জীবিত আছে এবং আমাকে বিশ্বাস করে সে কখনো মরবে না।”
আজকে আমাদের জন্য বড়ো প্রত্যাশা—রোমীয় ৮:৩৪-৩৯ পদ—
যীশু তো মৃত্যুবরণ করলেন এবং পুনরুত্থিতও হলেন; আর তিনিই ঈশ্বরের ডান পাশে আছেন এবং আমাদের পক্ষে অনুরোধ করছেন। খ্রীষ্টের প্রেম থেকে কে আমাদের পৃথক করবে?
দুঃখ-কষ্ট বা সংকট? বা নির্যাতন? বা দুর্ভিক্ষ? বা উলঙ্গতা? বা প্রাণ-সংশয়? বা খড়গ? যেমন লেখা আছে, “তোমার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত নিহত হচ্ছি; আমরা ভেড়ার মত গনিত হলাম।” কিন্তু যিনি আমাদেরকে প্রেম করেছেন, তাঁরই দ্বারা আমরা এসব বিষয়ে বিজয়ীর চেয়েও বেশি বিজয়ী হই। কেননা আমি নিশ্চয় জানি, মৃত্যু, বা জীবন, বা স্বর্গদূত, বা আধিপত্যগুলো, বা উপস্থিত বিষয়গুলো, বা ভাবী বিষয়গুলো, বা পরাক্রম সকল, বা ঊর্ধ্বস্থান, বা গভীর স্থান, বা অন্য কোনো সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু যীশুখীষ্টেতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম থেকে আমাদেরকে পৃথক করতে পারবে না।
পঞ্চম আশার বাণী
যীশু বললেন, তোমরা পাথরখানি সরিয়ে ফেল। যোহন ১১:৩৯।
মৃত ব্যক্তির ভগিনী মার্থা তাঁহাকে কহিলেন, প্রভু, এখন উহাতে দুর্গন্ধ হইয়াছে, কেননা আজ চার দিন। স্বাভাবিকভাবেই মার্থা-মরিয়ম তারা ক্রন্দনরত এবং দুঃখিত ছিলেন, তার ভাই যে আবার জীবিত হয়ে উঠবেন এটি তাদের চিন্তায় ও বিশ্বাসে ছিল না। কিন্তু বর্তমান এটাই। যীশু দৃঢ়তার সঙ্গে তাদের বললেন—
ষষ্ঠ আশার বাণী
যীশু তাঁকে কললেন, আমি কি তোমাকে বলিনি যে, যদি বিশ্বাস কর, তবে ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবে? যোহন ১১:৪০।
তখন তাহারা পাথরখানি সরাইয়া ফেলিল। আজকে আমরা অনেকেই আছি হতাশাগ্রস্ত, পাপের অন্ধকারে ডুবে আছি, অবহেলিত, ব্যথিত, নানা সমস্যায় জর্জরিত, অভাব, অসুস্থতা, বেদনা, দুর্দশা, অনিশ্চয়তা, ভয়, জীবনের নানা সমস্যা চতুর্দিক থেকে আপনাকে ঘিরে ধরেছে হয়ত আপনার জীবনে আর কোন আশা নেই!
বিভিন্ন কারণে বুকে পাথর চাপা দিয়ে আছেন! কাউকে কিছু বলতে পারছেন না! বুকের পাথর সরিয়ে ফেলুন ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবেন! যীশুকে ঢুকতে দিন! পুনরুত্থিত যীশুকে বিশ্বাস করুন। তিনি আপনার সমস্ত ভয়, অভাব, হতাশা, বেদনা, অনিশ্চয়তা, দুর্দশা, সমস্যা, সমস্ত অসুস্থতা থেকে তিনি আপনাকে রক্ষা করবেন।
আপনি অক্ষম কিন্তু পুনরুত্থিত যীশু সক্ষম। যীশুতে বিশ্বাস রাখুন। আপনি আপনার জীবনে, পরিবারে, ম-লীতে, কার্যক্ষেত্রে, সন্তানদের জীবনে, ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবেন। আপনার এই হতাশাপূর্ণ জীবনের জন্য ঈশ্বরের মহা পরিকল্পনা রয়েছে। ঈশ্বর সংকল্প আপনার জীবনের জন্য মঙ্গলের সংকল্প!
যতক্ষণ পর্যন্ত তারা কবরের পাথর চাপা দিয়ে ছিল, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাইনি। বুকের চাপা পাথার সরিয়ে ফেলুন, আপনি কাঁদবেন না, চোখের জল মুছে ফেলুন, চোখের জল সমাধান নয়, আপনার হৃদয়ের বোবা কান্নার শব্দ ঈশ্বর তিনি শুনতে পান! যীশু খ্রীষ্টকে আপনার হৃদয়ে ঢুকতে দিন, ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবেন! যীশু আজকে আপনাকে বলছেন, “হে পরিশ্রান্ত ভারাক্রান্ত লোক সকল আমার কাছে এসো আমি তোমাকে বিশ্রাম দিব।” মথি ১১:২৮।
সপ্তম আশার বাণী
এই বলে তিনি উচ্চরবে ডেকে বললেন, লাসার, বাহিরে আসো। যোহন ১১:৪৩।
তারা ঈশ্বরে মহিমা দেখতে পেলেন। জীবিত লাসার আপন বস্ত্রে বেরিয়ে আসলেন। লাসার বেরিয়ে আসার পর, অনেকে ভয় ও ভক্তিতে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। তিনি সুনিশ্চতভাবে লাসারকে ডেকেছিলেন! নতুবা পৃথিবীর সমস্ত কবর খুলে যেত! অনেকেই অভিভূত হয়েছিল। তবুও সবটাই মনে হচ্ছিল অবিশ্বাস্য! কারণ লাসার চার দিন আগে মারা গেছেন, আবার যীশু তাকে চারদিন পরে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুললেন। এটি কত না ভয়ঙ্কর ও কত না অবিশ্বাস্য কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, তিনি মারা গিয়েছিলেন এবং চারদিন পরে যীশু তাকে জীবিত করে তুললেন। আমরা ঈশ্বরের ধন্যবাদ দিই, তখন এই মহিমা দেখে অনেকেই যীশুকে বিশ্বাস করেছিল। আপনি যীশুকে কিভাবে বিশ্বাস করেন বা কী হিসাবে বিশ্বাস করেন?
অনেক সময় আমরা বিশ্বাসে দুর্বল, তাই আমরা ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাই না,আমরা মার্থা-মরিয়মের মতো, অতীতকে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতকে বিশ্বাস করি, বর্তমান পুনরুত্থিত যীশু খ্রীষ্ট আমাদের মধ্যে উপস্থিত, তিনি যে সমস্ত কিছু থেকে আমাদেরকে মুক্ত করতে পারেন, এটিকে আমরা ভুলে যাই। আমরা বিশ্বাস করি না, ফলে আমরা ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাই না।
আপনি বিশ্বাস করুন মুক্ত হবেন। ঈশ্বরের বাক্য আমাদের এই নিশ্চয়তা দেয়—রোমীয় ১০:৯-১১ কারণ তুমি যদি ‘মুখে’ যীশুকে প্রভু বলে স্বীকার কর এবং ‘হৃদয়ে’ বিশ্বস কর যে, ঈশ্বর তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপন করেছেন, তবেই তুমি পরিত্রাণ পাবে। কারণ লোকে অন্তরে বিশ্বাস করে, ধার্মিকতার জন্য এবং মুখে স্বীকার করে, পরিত্রাণের জন্য। কেননা শাস্ত্র বলে, “যে কেউ তাঁর উপরে বিশ্বাস করে, সে লজ্জিত হবে না।”
আজকে যীশু আপনাকে বলছেন, “দেখো আমি দ্বারে দাঁড়াইয়া আছি ও আঘাত করছি কেউ যদি আমার রব শুনে, দ্বার খুলিয়া দেয় তবে আমি তার কাছে প্রবেশ করব এবং তার সঙ্গে ভোজন করব এবং সেও আমার সঙ্গে ভোজন করবে।” প্রকাশিত বাক্য ৩:২০।